প্রকাশিত: রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | 🖊 রাবি প্রতিনিধি, স্বাধীন প্রতিদিন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন মধ্যরাতে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে টানা ৪০ ঘণ্টা অনশন করেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন,
"আমরা চল্লিশ ঘণ্টা ধরে অনশন করছি। কিন্তু প্রশাসনের টনক নড়ছে না। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমি মারা গেলে যেন আমার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয় এবং সবাই যেন এই আন্দোলন চালিয়ে যায়।"
সূত্র জানায়, বর্তমানে অন্তত ৭-৮ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে রয়েছেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যের বাসভবনে তালা দেন, জুবেরী ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান আশ্বস্ত করে বলেন,
“শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। পুলিশ মোতায়েন করা হলেও তাদের গায়ে কোনোভাবেই হাত দেওয়া হবে না।”
শনিবার দুপুরে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খান ও প্রক্টর তাদের নিজ নিজ বাসভবনে প্রবেশ করতে না পেরে জুবেরী ভবনের দিকে গেলে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে দিতে তাদের অনুসরণ করেন। এক পর্যায়ে ভবনের বারান্দায় ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে উপ-উপাচার্য, একজন উপ-রেজিস্ট্রার, রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শুভ, সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মারসহ অন্তত ৭-৮ জন আহত হন।
পরে উপ-উপাচার্য ভবনের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা তাকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু শিক্ষক ও কর্মকর্তা এগিয়ে আসেন। তবুও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবনের ভেতরে স্লোগান চালিয়ে যান এবং কয়েকজন জানালার কাঁচ ভাঙচুর করেন।
আন্দোলন চলমান থাকায় পরিস্থিতি এখনও থমথমে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো নির্ধারিত সিদ্ধান্ত এখনো জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন