বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। রোববার রাত ৮টার দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, নিউমোনিয়ার পাশাপাশি খালেদা জিয়ার একাধিক পুরোনো শারীরিক জটিলতা নতুন করে বেড়েছে। বয়সজনিত কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে হচ্ছে। বোর্ডের এক সদস্য জানান, কিছু পরীক্ষার ফল ভালো হলেও কিছু রিপোর্ট উদ্বেগও তৈরি করছে। প্রয়োজনে তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হতে পারে।
অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী জানান, “খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে। তাঁর আগের হার্টের সমস্যা—পেসমেকার, স্টেন্টিংসহ—একসঙ্গে সক্রিয় থাকায় শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত জটিলতা দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে আনার পর জরুরি সব পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, কেবিনেই তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, “এ মুহূর্তে তাঁকে লন্ডনে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। চিকিৎসা দেশে করানোটাই যথেষ্ট হবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, “চেয়ারপারসনের সার্বিক শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা স্থিতিশীলভাবে এগোচ্ছে, তবে নিবিড় পর্যবেক্ষণ জরুরি।” তিনি আরও জানান, লন্ডনে থাকা তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। খালেদা জিয়ার পরিবারের অন্যান্য সদস্যও হাসপাতালেই অবস্থান করছেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা, ফুসফুসের জটিলতা এবং চোখের রোগসহ একাধিক ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন। চলমান চিকিৎসার অংশ হিসেবে তিনি এ বছরের জানুয়ারিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন এবং ১১৭ দিন চিকিৎসা শেষে মে মাসে দেশে ফেরেন।
পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
📰 আরও খবর জানতে ভিজিট করুন:
www.shadinpratidin.com
💬 মতামত দিন | 🔁 বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন