প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:০৪ | স্বাধীন প্রতিদিন আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
গাজায় ইসরাইলি হামলায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় চালানো বর্বর বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
এই পরিস্থিতিকে ‘রক্তাক্ত উসকানি’ আখ্যা দিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
রবিবার (৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে হামাস দাবি করেছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা “মিথ্যাচার ও ভণ্ডামি”।
হামাস বলেছে,
“ইসরাইলি দখলদার বাহিনী (IOF) গাজার বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ অপরাধ ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। আজ সকালেই ৭০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এই হামলা নেতানিয়াহুর প্রতারণার প্রমাণ।”
সংগঠনটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আরব ও ইসলামি দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে— তারা যেন তাদের আইনি ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে অবরোধ ও গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।
হামাস বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জোরদার করে এবং দখলদারদের ‘গণহত্যা ও সম্মিলিত শাস্তি’র বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়।
এদিকে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইসরাইল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে একটি প্রাথমিক চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প বলেন:
“এই প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের সম্মতি মিললেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
ট্রাম্প আরও বলেন,
“এই পরিকল্পনা ‘পরবর্তী ধাপের প্রত্যাহারের শর্ত তৈরি করবে’ এবং এই ৩ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটাবে।”
গত কয়েক মাস ধরে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় হাজারো ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আবাসিক এলাকা।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই অবস্থা ‘চরম মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে উল্লেখ করলেও কার্যকর পদক্ষেপ এখনো দৃশ্যমান নয়।
📰 আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: www.shadinpratidin.com
📣 শেয়ার করুন | মতামত দিন
মন্তব্য করুন