স্বাধীন প্রতিদিন ডেস্ক | প্রকাশকাল: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাহসী জুলাইযোদ্ধা হাসিবুর রহমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অকাল মৃত্যুতে পুরো জবি ক্যাম্পাসে নেমে এসেছে গভীর শোক।
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে তিনি ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। ইতোমধ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে সহপাঠী ও সহযোদ্ধাদের মধ্যে নেমে আসে গভীর শোক।
শুক্রবার রাতে পুরান ঢাকার স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে আহ্বায়ক কমিটির সহকর্মীদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন হাসিবুর। উপস্থিতরা জানান, তিনি হঠাৎ বলেন—“আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না।” কিছুক্ষণের মধ্যেই অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সহপাঠী, বন্ধু, শিক্ষক, ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। গভীর শোকের মধ্যে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেওয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। শনিবার সকালে সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন হাসিবুর রহমান। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার বাবা স্থানীয় একটি ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
হাসিবুর রহমান ছিলেন সাহসী, নির্ভীক ও আন্দোলনমুখী একজন ছাত্রনেতা। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান এবং রাজধানীর বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি ছিলেন সম্মুখসারিতে। সহপাঠীরা বলেন, “সে শুধু রাজনীতিক নয়, একজন ভালো মানুষও ছিল—সবাইকে একসঙ্গে রাখার চেষ্টা করত।”
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
জবি ক্যাম্পাসে এখন শুধু একটাই প্রশ্ন—
“এত প্রাণবন্ত মানুষটা এভাবে হঠাৎ চলে গেল কেন?”
বন্ধুদের চোখে এখনো ভাসে হাসিবুরের হাসিমুখ, আর বুকের ভেতর জমে আছে একটাই ব্যথা --
‘ভালো থেকো হাসিব, আমরা তোমাকে ভুলব না।’
সম্পাদনা: স্বাধীন প্রতিদিন ডেস্ক
প্রকাশকাল: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
📰 আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: www.shadinpratidin.com
📣 শেয়ার করুন | মতামত দিন
মন্তব্য করুন