স্বাধীন প্রতিদিন আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক| তারিখঃ ৩ অক্টোবর ২০২৫
২০২৫ সালে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী আন্দোলন ভয়াবহ সংঘর্ষ, প্রাণহানি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। কাশ্মীর, ইসলামাবাদ ও খাইবার পাখতুনখুয়া— তিন অঞ্চলে প্রধান সংঘর্ষ লক্ষ্য করা গেছে।
বিক্ষোভের কারণসমূহ
অঞ্চলপ্রধান দাবিপাক-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)খাদ্য ও বিদ্যুতে ভর্তুকি, স্থানীয় সেবা, নির্বাচনী সংস্কারইসলামাবাদ (PTI বিক্ষোভ)রাজনৈতিক হয়রানি বন্ধ, পুলিশি নির্যাতনের বিচারতিরাহ ভ্যালি (খাইবার পাখতুনখুয়া)আদিবাসীদের স্বায়ত্তশাসন ও সামরিক দমন বন্ধ
প্রাণহানি ও সংঘর্ষের চিত্রঃ
এলাকাসরকারি মৃত্যু সংখ্যাবিরোধী দাবিকৃত সংখ্যা PoK (কাশ্মীর) ৮ জন (৩ পুলিশ + ৫ নাগরিক) ১০+ নাগরিক ইসলামাবাদ (PTI) ৪–৫ জন১২ জনতিরাহ ভ্যালি ৭ জন৭–১০ জন
এপর্যন্ত চলমান সংঘাতে মোট আনুমানিক প্রাণহানি: ২৫–৩০ জন ও আহতের সংখ্যা: শতাধিক (সঠিক সংখ্যা অজানা)।
সরকারি প্রতিক্রিয়াঃ
◾নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন।
◾গুলি ও টিয়ার গ্যাস প্রয়োগ।
◾ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ।
◾কিছু দাবি আংশিক মেনে নেওয়ার আশ্বাস।
মানবাধিকার পরিস্থিতিঃ
◾মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে।
◾সাংবাদিকদের প্রবেশ ও কভারেজে বাধা।
◾বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় ও নিখোঁজের অভিযোগ।
বিশ্লেষণ ও সতর্কতাঃ
◾প্রতিবাদের ধরন ক্রমেই আরও সংঘর্ষমুখী হচ্ছে।
◾তথ্য স্বচ্ছতার ঘাটতি বেড়েছে।
◾স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত।
◾সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক নজরদারি বাড়ছে।
“স্বাধীন প্রতিদিন” পর্যবেক্ষণ টিম মনে করেন, পাকিস্তানে এই মুহূর্তে প্রয়োজন --
▪️নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন।
▪️আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক আমন্ত্রণ।
▪️বিক্ষোভকারীদের দাবির ন্যায়সঙ্গত পর্যালোচনা।
▪️মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন প্রকাশের অনুমতি।
পাকিস্তানে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতা নয়, এটি একটি মানবিক ও সামাজিক সংকটেরও ইঙ্গিত দেয়। মৃতের সংখ্যা হয়তো এখনই শেষ নয়। একে সময়মতো গুরুত্ব না দিলে পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সূত্র: Reuters, AP, Tribune PK, Wikipedia, Aaj TV, Moneycontrol
📰 আরও খবর: www.shadinpratidin.com
📣 শেয়ার করুন | মতামত দিন
মন্তব্য করুন