প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২৫ | 🕒 সময়: ২০:৩৭
স্বাধীন প্রতিদিন ডেস্ক:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় এলে শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ এবং শিক্ষা কারিকুলাম পুনর্গঠনের জন্য ‘উচ্চ পর্যায়ের কমিশন’ এবং ‘শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘শিক্ষক মহাসমাবেশে’ ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রচলিত শিক্ষা কারিকুলামকে ব্যবহারিক ও কারিগরি দিক থেকে পুনর্গঠন করার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে।
তারেক রহমান বলেন, “নৈতিকতা এবং ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধের আলোকে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ জরুরি। যদি আমরা তা না করতে পারি, তাহলে শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে। জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হবে।”
সমাবেশে তারেক রহমান শিক্ষকদের প্রতি আর্জি জানিয়ে বলেন, “রাষ্ট্র ও সরকারের উন্নয়নে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের সমর্থন প্রয়োজন। একটি জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষকদের সহযোগিতা অপরিহার্য।”
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে আয়োজন করা এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের শিক্ষকরা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি এএসএম আমানুল্লাহ এবং অন্যান্য শিক্ষক নেতারা।
তারেক রহমান বলেন, “শিক্ষকরা রাষ্ট্র ও সমাজের রোল মডেল। শিক্ষার্থীরা যখন তাদের সম্মানজনক অবস্থানে দেখবে, তখন তাদের মনোজগতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকতা পেশা কখনোই সাধারণ চাকরির বিকল্প হতে পারে না। সবচেয়ে মেধাবী মানুষও যেন শিক্ষকতা পেশাকে প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে বেছে নিতে আগ্রহী হয়, সেই দিক থেকেই আমাদের শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।”
তারেক রহমান শিক্ষকদের আহ্বান জানান, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের পরিকল্পনাও তিনি শেয়ার করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি শিক্ষকদের সম্মান, আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা এবং শিক্ষার মান নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, “শিক্ষকরা সম্মানিত থাকলে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিও শক্তিশালী হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী গড়ে তোলা সম্ভব।”
সমাবেশে সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। এতে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা, ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তকরণ এবং চাকরি জাতীয়করণের দাবি ওঠে।
📰 আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: www.shadinpratidin.com
💬 মতামত দিন | 🔁 শেয়ার করুন