স্বাধীন প্রতিদিন ডেস্ক:
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলন দমনে অর্থ, উসকানি ও মদদদানের সঙ্গে যুক্ত কিছু সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ)। বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের ৩২ জন সমন্বয়ক এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন চলাকালে কিছু আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিক আন্দোলনরত ছাত্রদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন, এমনকি সাক্ষাৎকার নেওয়ার ছল করে আন্দোলনের নেতাদের চিহ্নিত করে ছাত্রলীগের হাতে তুলে দেন। বৈছাআ’র দাবি, এসব সাংবাদিকদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে, না হলে বিপ্লবের সুফল বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে একটি মঞ্চ বানিয়ে কিছু পেশাজীবী ব্যানারের আড়ালে যারা ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং সহিংসতা উসকে দেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় বৈছাআ'র সাবেক নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যেসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একইসঙ্গে গণমাধ্যমের পবিত্রতা রক্ষা ও ফ্যাসিবাদী চক্রের শেকড় উপড়ে ফেলতে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিও জানায় বৈছাআ।
বৈছাআ’র নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এসব দাবির বাস্তবায়ন না হয়, তবে তারা আবারও জুলাই আন্দোলনের মতো রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন—সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী, মো. ফয়সাল, সাবেক সমন্বয়ক চৌধুরী সিয়াম ইলাহী, ছাত্রনেতা মো. শাহ নেওয়াজ, মো. ফাহিমুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল যাওয়াদ, আহত জুলাই যোদ্ধা মো. রবিউল হাসান, ওমর ফারুক সাগর, এ.কে.এম ইশতিয়াক সম্রাট, মো. সাকিল, মো. তানভীর শরীফ, তাওসিফ ইমরোজ, মো. আদনান রাফি, রিপা মজুমদার, নীলা আফরোজ, ফাতেমা খানম লিজা, মোছাম্মদ লাবনী, নেভী দে, মোহাম্মদ মাইনুল হোসেন, মো. রায়হান হোসেন রাফি, প্রত্যয় বড়ুয়া, হাসান আল শাহরিয়ার, ইবনে হোসাইন জিয়াদ, ফয়জুল হক জিবন, মিনজাহ রাফি, সফীকুর রুদ্র, সাফায়েত হোসেন, নাফিজা সুলতানা অমি, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আব্দুর রহমান ও আবরার হাসান রিয়াজ প্রমুখ।
– স্বাধীন প্রতিদিন
(এই প্রতিবেদন সংবাদের জন্য প্রাপ্ত যৌথ বিবৃতির ভিত্তিতে তৈরি)