নিজস্ব প্রতিবেদক | স্বাধীন প্রতিদিন
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে দ্বিতীয় বছরের সংঘাত শেষ করার উদ্দেশ্যে একটি শান্তিচুক্তির প্রথম ধাপ চূড়ান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে মধ্যস্থতায় মিসর ও কাতার, তুরস্ক ও অন্যান্যারা মূল ভূমিকা রাখে।
যুদ্ধবিরতি: ইজরায়েল ও হামাস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজনৈতিক হামলা বন্ধের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
বন্দিদের মুক্তি: হামাস ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ২০ জন ইজরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং মৃত বন্দিদের নিথি (বিস্তারিত দেহ) সোপান করবে।
বিনিময়ে ইজরায়েল ২৫০ জন প্যালেস্টিনীয় মহিলা ও শিশু বন্দি এবং প্রায় ১,৭০০ জন যুদ্ধকালীন সন্দেহভাজন বন্দি মুক্তি দেবে।
• ইজরায়েল সেনাবাহিনী বেশিরভাগ গাজা এলাকা থেকে নির্ধারিত সীমান্তে সরবে, যদিও কন্ট্রোল কিছু অংশে বজায় থাকবে।
• গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ সুগম করতে চুক্তিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্যালেস্টিনীয় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এই শান্তিচুক্তিকে “ঐতিহাসিক মুহূর্ত” হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন এটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তির সূচনা হবে।
রামাল্লায় এক ইজরায়েলি শান্তি-সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের স্বদেশে থেকে মরিয়া নই; একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চলবে।”
নেতানিয়াহু প্রশাসন এই চুক্তিকে “কূটনৈতিক সাফল্য” বলে প্রতিপাদন করেছে।
তবে পার্টি অভ্যন্তরীণ প্রতি বিরোধ ও চুক্তি বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তাগত চ্যালেঞ্জগুলোর কথাও আলোচনা চলছে।
বিশ্বজুড়ে নেতারা শান্তিচুক্তি স্বাগত জানিয়েছেন। জাতিসংঘ সাধারণ মহাসচিব শান্তি ও মানবিক সহায়তা প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান, মিসরের আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি, এবং অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো চুক্তি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এশিয়ার দেশগুলিও এই শান্তিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং গাজায় মানবিক সংকট লাঘবের আহ্বান করেছে।
চুক্তির বাস্তবায়ন: অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা সব সময় থাকে।
সীমান্ত নির্ধারণ: গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সরে যাওয়ার সীমা, নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার শর্ত ইত্যাদি বিষয় স্পষ্ট হওয়া জরুরি।
হামাসের অস্ত্র সর্ম্পণ ও নিরাপত্তা: চুক্তিতে হামাসকে তার সামরিক সক্ষমতা হ্রাস করতে বলা হয়েছে; তা বাস্তবায়ন করাসহ শান্তি বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ।
পুনর্গঠন ও অর্থায়ন: গাজা দীর্ঘভাবে ধ্বংস হয়েছে; অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ, বেসামরিক জীবন ফিরিয়ে আনা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পুনরূদ্ধার গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনৈতিক সমাধান: চুক্তি শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতির একটি ধাপ; ইজরায়েল-প্যালেস্টিন সংঘাতের মূলে থাকা রাজনৈতিক ইস্যুগুলোর সমাধান এখনও বাকি।
ইজরায়েল ও হামাসের নতুন শান্তিচুক্তি, যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘক্ষণকে ক্ষুণ্ন করেছে যে সহিংসতা ও মানবিক বিপর্যয় — তার পুনরাবির্তি রোধ করতে পারে। এই প্রথম ধাপ হলেও, তা দীর্ঘতর শান্তি ও স্থিতিশীলতার দরজা খুলে দিতে পারে, যদি সকল পক্ষ আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে।
📰 আরও খবর জানতে ভিজিট করুন:
www.shadinpratidin.com
💬 মতামত দিন | 🔁 বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন