নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও মজবুত হবে: সেনাবাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদক | স্বাধীন প্রতিদিন | ৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার দুপুর
দেশের জনগণ যেমন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়—বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী সে নির্বাচনের সফল আয়োজন হোক। সেনাবাহিনীর আশা, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও মজবুত হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সেনাসদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুল রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সরকার যে রূপরেখা ঘোষণা করেছে, সেটির ভিত্তিতেই সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত পরিসরে হলেও নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর করণীয়কে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান আরও বলেন, গত ১৫ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছে, যা স্বাভাবিক সময়ের জন্য অস্বাভাবিক চ্যালেঞ্জের। “শান্তিকালীন সময়ে আমাদের কাজ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে মাঠে দায়িত্ব পালন করায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রভাব পড়েছে,” বলেন তিনি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, “একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং সেনাবাহিনীও ব্যারাকে ফিরে যেতে পারবে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ঘিরে ছড়ানো গুজবের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, “গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চালালেও আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য প্রধান ও সিনিয়র নেতৃত্বের প্রতি শতভাগ অনুগত। যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন সেনাবাহিনী আরও ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খল ও ভ্রাতৃত্ববোধে দৃঢ়।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণের সেনাবাহিনী। জনগণের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবে।”
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে মিলিটারি অপারেশনস অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
তিনি জানান, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে মোতায়েন থাকবে—যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। জেলা, উপজেলা ও আসনভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।”
নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা এবং নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা। এ লক্ষ্যে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর।”
📰 আরও খবর জানতে ভিজিট করুন:
www.shadinpratidin.com
💬 মতামত দিন | 🔁 বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন